অনেক বলি স্টার আছেন, যারা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে প্রতিনিয়ত নিজেদের জীবনের সঙ্গে লড়াই করেছেন। রজনীকান্ত থেকে গোবিন্দা, অনেক তারকার নাম এই তালিকায় উচ্চারণ করা যায়। এমনই একজন অভিনেতা হলেন আয়ুষ্মান খুরানা। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে আয়ুষ্মানের স্ত্রী তাহিরা জানালেন, একটা সময় এমনও ছিল যখন আম কেনার টাকা পর্যন্ত ছিল না তাদের কাছে।
তাহিরা এবং আয়ুষ্মান, গত ১৭ বছর ধরে বিবাহিত জীবন অতিবাহিত করছেন। বিয়ের পরবর্তী সময় তাদের জন্য ছিল ভীষণ কঠিন কারণ আয়ুষ্মান তখন প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা ছিলেন না। বলা ভালো, আয়ুষ্মানের কাছে তখন তেমন আয় ছিল না। তেমন একটি দিনের কথা স্মৃতিচারণ করেন তাহিরা।
অফিসিয়াল পিপলস অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে কথোপকথন চলাকালীন তাহিরা বলেন, ‘আমার বিয়ের জন্য যে টাকা খরচ করা হয়েছিল তা সবটাই আমার সঞ্চয় ছিল। কিন্তু মুম্বইয়ে আমরা যখন সংসার শুরু করি তখন ভীষণ বিপদে পড়তে হয়েছিল আমাদের। আমার কাছে তখন কোনও চাকরি ছিল না। বাড়িতে কীভাবে খাবার আসছে,সব কিছু কীভাবে চলছে সেই দিকে বিন্দুমাত্র খেয়ালও ছিল না ওর।’
তাহিরা বলেন, ‘ফলমূল শাকসবজি কিনতে কিনতে আমার ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স ধীরে ধীরে কমে আসছিল। কিন্তু আমি কখনও কারোর কাছে টাকা চাইনি, বাবা মায়ের কাছেও নয়। আমি সব সময় আর্থিকভাবে স্বাধীন থাকতে চেয়েছিলাম কিন্তু এক বছরের মধ্যেই আমার ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স শূন্য হয়ে যায়। এমন একটা সময় ছিল যখন আম কেনার টাকা ছিল না আমার।’
একটি দিনের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করতে গিয়ে তাহিরা বলেন, ‘একদিন আমাকে আয়ুষ্মান জিজ্ঞেস করেন আমি কেন আম কিনে আনিনি। সেদিন আমি ভীষণ রেগে যাই এবং কাঁদতে শুরু করি। দুদিন ধরে আম কেনা হচ্ছে না সেটা ও খেয়ালই করেনি। সাত-আট মাস ধরে আমরা শুধু কাজ খোঁজারই চেষ্টা করেছি, পুরোটাই নিজেদের সঞ্চয় দিয়েই চলছিল।’
সবশেষে তাহিরা বলেন, ‘আয়ুষ্মান সেদিন আমাকে জিজ্ঞাসা করেন কেন আমি আর্থিক সাহায্য চাইনি ওর থেকে। যাই হোক, ততদিনে ও একজন ডিজে হিসেবে চাকরি পেয়েছিল। পরে ধীরে ধীরে আমাদের অবস্থার উন্নতি হয়।’
প্রসঙ্গত, স্কুলে পড়াকালীনই একে অপরের ভীষণ ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন তাহিরা এবং আয়ুষ্মান। ২০০৮ সালে তারা বিয়ে করেন এবং তাদের দুই ছেলে মেয়ে রয়েছে যাদের নাম বিরাজবীর ও ভারুস্কা।
তাহিরা এবং আয়ুষ্মান, গত ১৭ বছর ধরে বিবাহিত জীবন অতিবাহিত করছেন। বিয়ের পরবর্তী সময় তাদের জন্য ছিল ভীষণ কঠিন কারণ আয়ুষ্মান তখন প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা ছিলেন না। বলা ভালো, আয়ুষ্মানের কাছে তখন তেমন আয় ছিল না। তেমন একটি দিনের কথা স্মৃতিচারণ করেন তাহিরা।
অফিসিয়াল পিপলস অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে কথোপকথন চলাকালীন তাহিরা বলেন, ‘আমার বিয়ের জন্য যে টাকা খরচ করা হয়েছিল তা সবটাই আমার সঞ্চয় ছিল। কিন্তু মুম্বইয়ে আমরা যখন সংসার শুরু করি তখন ভীষণ বিপদে পড়তে হয়েছিল আমাদের। আমার কাছে তখন কোনও চাকরি ছিল না। বাড়িতে কীভাবে খাবার আসছে,সব কিছু কীভাবে চলছে সেই দিকে বিন্দুমাত্র খেয়ালও ছিল না ওর।’
তাহিরা বলেন, ‘ফলমূল শাকসবজি কিনতে কিনতে আমার ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স ধীরে ধীরে কমে আসছিল। কিন্তু আমি কখনও কারোর কাছে টাকা চাইনি, বাবা মায়ের কাছেও নয়। আমি সব সময় আর্থিকভাবে স্বাধীন থাকতে চেয়েছিলাম কিন্তু এক বছরের মধ্যেই আমার ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স শূন্য হয়ে যায়। এমন একটা সময় ছিল যখন আম কেনার টাকা ছিল না আমার।’
একটি দিনের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করতে গিয়ে তাহিরা বলেন, ‘একদিন আমাকে আয়ুষ্মান জিজ্ঞেস করেন আমি কেন আম কিনে আনিনি। সেদিন আমি ভীষণ রেগে যাই এবং কাঁদতে শুরু করি। দুদিন ধরে আম কেনা হচ্ছে না সেটা ও খেয়ালই করেনি। সাত-আট মাস ধরে আমরা শুধু কাজ খোঁজারই চেষ্টা করেছি, পুরোটাই নিজেদের সঞ্চয় দিয়েই চলছিল।’
সবশেষে তাহিরা বলেন, ‘আয়ুষ্মান সেদিন আমাকে জিজ্ঞাসা করেন কেন আমি আর্থিক সাহায্য চাইনি ওর থেকে। যাই হোক, ততদিনে ও একজন ডিজে হিসেবে চাকরি পেয়েছিল। পরে ধীরে ধীরে আমাদের অবস্থার উন্নতি হয়।’
প্রসঙ্গত, স্কুলে পড়াকালীনই একে অপরের ভীষণ ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন তাহিরা এবং আয়ুষ্মান। ২০০৮ সালে তারা বিয়ে করেন এবং তাদের দুই ছেলে মেয়ে রয়েছে যাদের নাম বিরাজবীর ও ভারুস্কা।